• ১ শ্রাবণ ১৪৩২, শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Dream Fulfillment

নিবন্ধ

স্বপ্ন পূরণ (ছোট গল্প)

এখনও পাঁচালির আওয়াজ কানে বাজছে দীপ্তর। সেই ছোটো থেকে দেখে আসা স্বপ্নটা আজ সত্যি হলো।কোজাগরী পূজো রাত; রূপোর থালার মত চাঁদের আলোয় ভেসে যাচ্ছে জগত সংসার। এই রাতে নিজেকে সব থেকে সুখী মানুষ মনে হচ্ছে ওর। অথচ কিছু মাস আগেও উল্টো ছিল। আজ দশ বছর পর গ্রামের বাড়িতে এসেছে লক্ষ্মী পূজো উপলক্ষে। এতদিন কলকাতায় আসলেও গ্রামের বাড়িতে আসে নি। এতদিন পরে মনের গোপন কুঠুরিতে লুকিয়ে রাখা স্বপ্ন গুলো প্রকাশ করার সাহস পেয়েছে।গ্রামের ছেলে দীপ্ত, মা বাবাকে হঠাৎ এক দুর্ঘটনায় হারিয়ে শহরে মামার বাড়িতে যখন আসে তখন ও ক্লাস এইট। একে তো এই বয়স তারপর মা বাবাকে হারানো;সব মিলিয়ে দীপ্ত যেন একদম চুপচাপ হয়ে গেছিলো। ওর মামাতো দিদি দীয়া ওকে আগলে রাখতো সবসময়। দীপ্ত দীয়ার থেকে বছর পাঁচের ছোটো কিন্তু মনে হত অনেক ছোটো। দীয়ার সাহচর্যে ও আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। দিদিভাইকে দীপ্ত সহজেই সব কথা বলতে পারত অকপটে। এই বয়সের যেসব পরিবর্তন সেসব কথাও দিদিকেই বলত। কারণ দিদি ছাড়া ওরকম করে ওকে কেউই বুঝত না। যদিও মামীমা খুবই স্নেহ করতেন। গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার ইচ্ছা হলেও দিদিকেই বলত। এইভাবে ও বড়ো হতে থাকলো।দীপ্ত যেবার উচ্চ মাধ্যমিক দেবে ওর দিদির বিয়ে হয়ে গেল। আবার দীপ্ত একা হয়ে গেল। এইসময় ওদের পাশের বাড়িতে একটি পরিবার ভাড়া এল। যতীন কাকু ও স্বপ্না কাকী মা আর ওনাদের মেয়ে রিমা। কাকীমাকে প্রথম থেকেই দীপ্তর মনে হয়েছিল ওর মায়ের মত দেখতে অনেকটা। ওর খালি ইচ্ছা করত ওনার কাছে যেতে। মামীমার সাথে খুব অল্প দিনের মধ্যেই ওনার বেশ ভাব হয়ে গেল। মাঝে মাঝেই এটা ওটা দিয়ে দীপ্ত ওদের বাড়িতে যেত আবার রিমাও আসত ওদের বাড়িতে। ওরা আসাতে দীপ্তর একাকীত্ব যেন একটু লাঘব হলো। যদিও ও রিমা কে একটু এড়িয়ে চলত কারণ ওর মনে হত মেয়েটা বয়সের তুলনায় অনেক বেশি পাকা। রিমা তখন ক্লাস এইট। কাকী মা বলাতে মাঝে মাঝে রিমা কে পড়া দেখিয়ে দিতে হত। যদিও রিমার ভাব কায়দা ভালো লাগতো না। এইভাবেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করেই পাশ করে কলেজে ভর্তি হলো।সেবার দূর্গা পূজোর অষ্টমীর দিন পাড়ার পূজোতে অঞ্জলি দেবার সময় শাড়ি পড়ে ওর পাশে এসে দাঁড়িয়ে রিমা এমনভাবে তাকালো যে দীপ্ত একটু অবাক হলো, কিন্তু বয়সের তুলনায় বাড়ন্ত রিমা কে সেদিন এত সুন্দর লাগছিল যে দীপ্তও ঘায়েল হয়েই গেল। আড়ালে বসে মদনদেব হাসলেন। তার শরে বিদ্ধ হলো দুটি হৃদয়। যদিও এর প্রকাশ ঘটেনি পরস্পরের কাছে। কিন্তু কতদিন আর ওইভাবে চলে। এসে গেল বাঙালীর ভ্যালেন্টাইন ডে সরস্বতী পূজা। দীপ্ত কলেজ যাবে বলে তৈরি হচ্ছে এমন সময় রিমা এসে ওর মামীমার কাছে বায়না ধরে দীপ্তর সাথে কলেজে যাবে। মামীমা রিমা কে খুব ভালোবাসেন তাই দীপ্তকে বলেন রিমা কে নিয়ে যেতে। তখনও কি ঘটতে চলেছে দীপ্তর আন্দাজ ছিল না। রিমা বাড়ি থেকে বেড়িয়ে বলে কলেজ না ও যেখানে বলবে সেখানে যেতে হবে। এই বলে দীপ্তকে অন্য জায়গায় নিয়ে যায়। যেখানে দুজনে মদন শরে বিদ্ধ হয়, দুটি মনের মিলন ঘটে, অধরে অধরে মিলনের সাথে সাথে। সবার সামনে কিন্তু সবার অজ্ঞাতেই চলল দুজনের প্রেম।রিমা মাধ্যমিক পাশ করল মোটামুটি রেজাল্ট করে। দীপ্ত গ্রাজুয়েশন করে গ্রামের বাড়িতে ফিরে গেল; সেখানে যা জমি জমা আছে চাষ করবে বলে। আর সাথে চলল চাকরির জন্য পরীক্ষা দেওয়া। মামা মামীমা খুব আপত্তি জানিয়ে ছিলেন, কিন্তু দীপ্তর গ্রামের প্রতি টানটা যায়নি। মাঝে মাঝে মামার কাছে আসে। এর একবছর পর হঠাৎ দিদিভাইয়ের এক দূরসম্পর্কের আত্মীয়ের সূত্রে একটা মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে একটা চাকরি পেল। মামার চাপে পরে বাধ্য হলো চাকরিটা করতে। চলে গেল আমেদাবাদ।এবার সবার চোখে রিমার পরিবর্তন ধরা পড়তে লাগল। সেই প্রাণোচ্ছল মেয়েটা যেন কেমন চুপচাপ হয়ে গেল। আসতে আসতে দীপ্তদের বাড়িতে যাওয়া কমতে লাগলো। হঠাৎ দীপ্তর মামীমা খেয়াল করলেন যে রিমার মা আগের মত মেলামেশা করছে না। দীপ্ত ওর দিদিকেই সবটা জানাল। সব জেনে দীয়া গেল রিমার মায়ের সাথে কথা বলতে ওদের ব্যাপারে। রিমার মা দীয়াকে অনেক কথা শুনিয়ে দিলেন। এরপর ওর মামা মামীমা ও দীপ্তর কথা ভেবে কথা বলতে গেলে ওনাদের খুব অপমান করেন রিমার মা বাবা। এটা দীপ্ত মেনে নিতে পারে না। রিমা কে প্রস্তাব দেয় বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে বিয়ে করতে হবে। কিন্তু রিমা রাজী হয় না। দুজনের মধ্যে চলতে লাগল টানাপোড়েন। এইভাবে চলতে চলতে হঠাৎ রিমারা চলে গেল। দীপ্তর সাথে কোনো রকম যোগাযোগ করল না। পরে বন্ধু মারফত শুনে ছিল রিমার বিয়ে হয়ে গেছে।এরপর দীপ্ত শুধু নিজের কেরিয়ার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। চাকরিতে যাতে আরও উন্নতি হয় সেদিকে মনপ্রাণ লাগিয়ে দিল। ওর সততা আর সরলতা সবার মন জয় করে নিল। তরতর করে উন্নতি হতে লাগল। দীপ্ত যখন যার অধীনে কাজ করে সেই ওকে খুব ভালোবেসে ফেলে। কাজের উন্নতির সাথে সাথে বাড়ি আসা কমতে থাকে। এদিকে মামা মামীমা বিয়ের জন্য ক্রমশ জোর দিতে থাকে। বারবার এড়িয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত দিদিভাইয়ের কাছে হার মেনে বিয়ে করতে রাজি হয়। দীপ্তর গ্রামের বাড়ির পাশের গ্রামের এক নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে মধুমিতার সাথে বিয়ে হয় দীপ্তর। মধুমিতা গ্রামের মেয়ে ও গরিবের মেয়ে হলেও খুব উচ্চাকাঙ্ক্ষী ছিল। তবুও বিয়ের পর দুটো বছর বেশ ভালো কাটল। তারপর ওদের মাঝে এল ওদের ছেলে অন্বয়, যাকে ওরা কুট্টুস বলে। কুট্টুস তখন দুবছরের হঠাৎই মধুমিতার ব্যবহারে যেন অনেক পরিবর্তন আসতে থাকে। সারাক্ষণ ফোন নিয়ে বসে থাকে, ছেলেকেও সেভাবে যত্ন করে না। কথায় কথায় দীপ্তর বয়স নিয়ে, যোগ্যতা নিয়ে অপমানজনক কথা বলে। দীপ্তর সাথে ওর বয়সের ফারাক অনেক বেশি বলে হঠাৎ করে ওর দীপ্ত কে নিয়ে ওর মধ্যে সমস্যা দেখা যায়। দীপ্ত প্রথম প্রথম খুব একটা পাত্তা না দিলেও শেষ পর্যন্ত পারে না।শেষ পর্যন্ত ব্যাপারটা প্রায় ডিভোর্সের পর্যায়ে চলে যায়; কিন্তু দীপ্ত ছেলে ছেড়ে থাকতে পারবে না এটা বুঝতে পারে। তাই দীর্ঘ সময় বাপের বাড়িতে রেখে দিলেও শেষ পর্যন্ত ওদের আবার ফিরিয়ে নিয়ে যায় কাজের জায়গায়। সেখানে আরেক অশান্তি শুরু হয়। সমস্যা যখন বেশ সমাধান হতে শুরু করে ঠিক সেই সময় দীপ্তর এক পিসতুতো ভাই মানস কাজের সূত্রে ওদের ওখানে গিয়ে ওঠে। সে প্রায় মধুমিতার কাছাকাছি বয়সের। তার নজর পরে মধুমিতার ওপর। তাই দীপ্ত আর মধুমিতার মধ্যে আবার বিবাদ লাগানোর জন্য রিমার কথা অনেক বেশি বেশি করে বাড়িয়ে বলে মধুমিতার কাছে। মধুমিতার মনে আবার ঝড় ওঠে। এই সময় মানস সুযোগ নিতে চায়। কিন্তু মধুমিতার মনে মানসের জন্য তো কোনো জায়গা ছিল না তাই ও মানসের এই ব্যাপারটা মেনে নিতে পারে না। ও দীপ্তর কাছে সব বলে। এবং মানস যাতে আর না আসে সে ব্যবস্থা করতে বলে দীপ্ত কে।দীপ্ত বোঝে এই মেয়ের সাথে ঝগড়া করে হবে না আস্তে আস্তে বুঝিয়ে ঠিক করতে হবে। ও এই ব্যাপারে দিদিভাইয়ের সাহায্য নেয়। আস্তে আস্তে মধুমিতার মধ্যে পরিবর্তন আসতে শুরু করে। ওর শুধু একটাই রাগ রিমার কথা দীপ্ত কেন ওকে বলেনি। দীপ্ত ওকে বোঝায় রিমার কথা ও মনে করতে চায়না; ওটা ওর একটা বেদনাময় অংশ ছিল। যেদিন থেকে মধুমিতার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় সেদিন থেকে ও শুধু মধুমিতার। দীপ্ত শেষ পর্যন্ত বোঝাতে সক্ষম হয়। আস্তে আস্তে মধুমিতা নিজের ভুল বুঝতে পারে। তারপর থেকে মন দিয়ে সংসার করতে চেষ্টা করে। দীপ্ত আর মধুমিতার মধ্যে সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়। ওদের মধ্যে আরেক অতিথি আসে মাস তিনেক আগে। ওদের মেয়ে অন্বেষা।এই আনন্দের সময় দীপ্তর মনে পড়ে ওর মায়ের কথা। একদিন কথাপ্রসঙ্গে মধুমিতার কাছে ও বলে আমার স্বপ্ন ছিল আমার স্ত্রী আমার মায়ের মত করে বাড়িতে লক্ষ্মী পূজো করবে। মধুমিতা সেকথা শুনে রাজী হয়ে যায়। আনন্দের সাথে এবার গ্রামের বাড়িতে এসে এবার দীপ্তর কথা মতো একদম লাল পাড়ে শাড়ি, পায়ে আলতা পড়ে লক্ষ্মী পূজো করে আর শেষে পাঁচালি পড়ে একদম মায়ের মতো করে।দীপ্তর মনে পড়ে যায় হারিয়ে যাওয়া মায়ের সাথে বসে লক্ষ্মী পূজো দেখার কথা। আজ আনন্দে দীপ্তর চোখে ঘুম নেই। ঘরের মধ্যে ছেলে মেয়ে নিয়ে মধুমিতা ঘুমিয়ে পড়েছে, সারাদিন খাটাখাটনি করে ক্লান্ত হয়ে। দীপ্ত ব্যালকনিতে আনন্দের জ্যোৎস্নায় স্নান করছে। আজ যে ওর মনে বাসা বেঁধে ছিল যে স্বপ্ন তা পূরন হয়েছে।শ্রীমতি রাখি রায়বর্ধমান

নভেম্বর ০৬, ২০২২

ট্রেন্ডিং

দেশ

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুরে ৫০০০ কোটির বেশি মূল্যের প্রকল্পের সূচনা করবেন

আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুরে তেল ও গ্যাস, বিদ্যুৎ, সড়ক ও রেল খাতে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস, উদ্বোধন ও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন।১৯৫০ কোটি টাকার বেশি অর্থ বরাদ্দে তেল ও গ্যাস পরিকাঠামোয় প্রধানমন্ত্রী বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (BPCL)-এর সিটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন (CGD) প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঘরোয়া, বাণিজ্যিক ও শিল্পগ্রাহকদের PNG সংযোগ প্রদান করা হবে, রিটেল আউটলেটে CNG উপলব্ধ থাকবে এবং এই অঞ্চলে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।প্রধানমন্ত্রী দুর্গাপুর-হলদিয়া প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনের দুর্গাপুর থেকে কলকাতা পর্যন্ত ১৩২ কিমি দীর্ঘ অংশটিও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন, যা প্রধানমন্ত্রী উর্জা গঙ্গা (PMUG) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত জগদীশপুর-হলদিয়া ও বোকারো-ধামরা পাইপলাইন প্রকল্পের অংশ। আনুমানিক ১,১৯০ কোটি টাকার এই প্রকল্পটি পূর্ব বর্ধমান, হুগলি ও নদিয়া জেলার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। স্থানীয়দের জন্য এই পাইপলাইন নির্মাণকালে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে এবং এখন লক্ষাধিক পরিবারকে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহে সহায়তা করবে।পরিবেশবান্ধব শক্তি উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী দুর্গাপুর স্টিল থার্মাল পাওয়ার স্টেশন এবং রঘুনাথপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশনে ফ্লু গ্যাস ডিজালফারাইজেশন (FGD) সিস্টেম সংযোজনের প্রকল্পটিও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন, যার আনুমানিক ব্যয় ₹ ১,৪৫৭ কোটি টাকা। এটি এলাকার পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে।রেল পরিকাঠামো উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী পুরুলিয়া জেলার পুরুলিয়া-কোটশিলা রেললাইন দ্বিগুণ করার ৩৬ কিমি দীর্ঘ প্রকল্পটিও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন, যার ব্যয় প্রায় ৩৯০ কোটি। এই প্রকল্পটি জামশেদপুর, বোকারো ও ধানবাদের শিল্পাঞ্চলের সঙ্গে রাঁচি ও কলকাতার সংযোগ উন্নত করবে, পণ্য পরিবহনের গতি বাড়াবে এবং শিল্প ও ব্যবসার ক্ষেত্রে লজিস্টিক্স সুবিধা উন্নত করবে।সেতু ভারতম প্রকল্পের অধীনে পশ্চিম বর্ধমানের তোপসি ও পাণ্ডবেশ্বরে নির্মিত দুটি রোড ওভার ব্রিজ (ROBs)-এর উদ্বোধনও প্রধানমন্ত্রী করবেন, যার মোট ব্যয় প্রায় ৩৮০ কোটি টাকা। এই সেতুগুলি রেল লেভেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা রোধ এবং এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সহায়তা করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুরে তেল ও গ্যাস, বিদ্যুৎ, সড়ক ও রেল খাতে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস, উদ্বোধন ও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন

জুলাই ১৭, ২০২৫
রাজ্য

বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থায় চেয়ারপারর্সন ও দুজন ভাইস চেয়ারপারর্সনের নাম ঘোষণা

বর্ধমান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির নতুন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এবার ২জন ভাই চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। চেয়ারম্যান হয়েছেন উজ্জ্বল প্রামানিক। জামালপুরের বিধায়ক ছিলেন। ভাইস চেয়রাম্যান দুজন হলেন কাকলি তা গুপ্তা ও আইনুল হক। এর আগে বিডিএর চেয়ারপার্সন ছিলেন কাকলি তা গুপ্তা ও ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন আইনুল হক। চেয়ারপার্সন থেকে ভাইস চেয়ারপার্সন হয়ে গেলেন কাকলি তা গুপ্তা। আগের পদে রইলেন আইনুল হক। বর্ধমান পুরসভার দীর্ঘ দিনের চেয়ারম্যান ছিলেন আইনুল হক।

জুলাই ১৫, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

কালনা থানার মৈত্রী কাপ কলঙ্কিত করল কেএসএসএ

পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের উদ্যোগে কালনা থানার পরিচালনায় শনিবার থেকে শুরু হলো মৈত্রী কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। ১৬ দলকে নিয়ে দু-দিনের এই প্রতিযোগিতা হচ্ছে অঘোরনাথ পার্ক স্টেডিয়ামে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়ানো ও ফুটবল প্রতিভা অন্বেষণের লক্ষ্যে প্রশংসনীয় উদ্যোগ। যদিও প্রথম দিনেই এই টুর্নামেন্টে কালির দাগ লাগাল কালনা মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার কর্তা মানিক দাসের ভূমিকা।প্রি কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় ম্যাচে বিজাড়া সুহানা একাদশ যথাসময়ে দল নামাতে না পারায় ওয়াকওভার পায় পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতি। সময়ানুবর্তিতার উপর জোর দিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছিলেন কালনা থানার আইসি সুজিত ভট্টাচার্য। এরপরেই শুরু হয় চালাকি। পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতিকে দ্বিতীয় ম্যাচের পরিবর্তে চতুর্থ ম্যাচ খেলতে বিজাড়ার এক কর্তা অনুরোধ করলেও তারা রাজি হয়নি। বিজাড়ার টিম লিস্ট জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া কেএসএসএ-র এক প্রভাবশালী আটকে দেন বলে অভিযোগ। এরপর তিনিই গিয়ে ওই দলের কয়েকজনকে কেএসএসএ-র হয়ে খেলানোর উদ্যোগ নেন। যদিও ওই ফুটবলাররা মাঠে নামতেই বেঁকে বসে তৃতীয় ম্যাচে কেএসএসএ কোচিং ক্যাম্পের প্রতিপক্ষ দল মধুপুর মারাং বুরু ক্লাব। শেষ অবধি কালনা থানার আইসির নির্দেশে তিন ফুটবলারকে বসাতে বাধ্য হয় কেএসএসএ। কাহানি মে ট্যুইস্ট এখানেই। টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী পরাজিত দলের কাউকে খেলানো যাবে না। এমনকী রবিবারের খেলার যে নিয়ম প্রকাশ করা হয়েছে তাতে লেখা আছে, যদি কেউ এমন করে এবং তা প্রমাণিত হয় তাহলে সেই দলকে বহিষ্কার করা হবে। সেটাই যদি হবে, তাহলে যে দল এমন অপরাধ করল সেই দলের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক পদক্ষেপ না নিয়ে প্রতিপক্ষ মধুপুরকে জয়ী ঘোষণা করা হলো না সেই প্রশ্ন উঠছে। দর্শক মহলেও বিষয়টি নিয়ে চর্চা চলতে থাকে।এরপর সেমিফাইনালের আগে পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতি জানায় যে তিনজনকে আগেই জালিয়াতির জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে তাঁদের যেন না নামানো হয়। এই সময় সেই মানিক লোকজন জোগাড় করে আপত্তিকর আচরণ করেন। এমনকী মঞ্চে বসেই। প্রশ্ন হলো, টুর্নামেন্টে একটি দলের কর্তা এহেন আচরণ করেন কীভাবে, তাও পুলিশ আধিকারিকদের মঞ্চে বসে? প্রথমে জালিয়াতি করতে গিয়ে পার পাওয়া, তারপর মানিকের অস্ত্র হয়ে দাঁড়ায় রেফারি ম্যানেজ।সেমিফাইনালে পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছিল কেএসএসএ-র। খেলা যখন ১-১, টাইব্রেকারের দিকে ম্যাচ গড়াচ্ছে তখন রেফারি চরম ভুল সিদ্ধান্ত নেন। যার মাশুল গুনতে হয় সংহতিকে।বল কেএসএসএ-র ফুটবলারের গায়ে লেগে গোললাইন অতিক্রম করলেও কর্নার দেন রেফারি! সংহতি প্রতিবাদ জানালেও রেফারি কর্ণপাত করেননি। সেই মুভ থেকে জয়সূচক গোল পায় টেইন্টেড কেএসএসএ। যা দেখে মাঠে উপস্থিত অন্য রেফারিরাও বলেন ওটি কর্নার ছিল না। কর্নার না হলে গোলটিও হতো না। যে রেফারিরা ম্যাচটি খেলালেন তাঁরা স্থানীয় রেফারি। তাঁরা সংশ্লিষ্ট মানিক দাসকে মানিকদা বলে অভিহিত করছিলেন। অভিযোগ, ওই মানিক কেএসএসএ-তে নিজের থাকার প্রভাব খাটিয়ে রেফারি ম্যানেজ করেছেন। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে গোল জাজ রাখা হলো না কেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেল, এই টুর্নামেন্ট খেলাতে এআইএফএফের রেফারি জোগাড়ের চেষ্টা করেছিল থানা। তবে তাঁদের পাওয়া যায়নি। এরপর সব ঠিক করা হয় মানিকের উপস্থিতিতেই। তিনি লটারির সময়েও হাজির ছিলেন। মানিকের এমন জালিয়াতির প্রচেষ্টা ও উদ্ধত আচরণে রুষ্ট অনেকেই।এক ক্লাবের কর্তা থেকে দর্শকদের কয়েকজন বলছিলেন, দেখে তো মনে হচ্ছে থানা নয়, মানিক সর্বেসর্বা! তিনি থানার কে? যদিও কালনা থানার উপর কোনও ক্ষোভ নেই কারও। পুলিশের টুর্নামেন্ট, রেফারির সিদ্ধান্ত শিরোধার্য বলে সবাই সব সিদ্ধান্ত মুখ বুজে মেনে নিলেন। কিন্তু আগাগোড়া পক্ষপাতদুষ্টতা কলঙ্কিত করল কালনা থানার সাধু উদ্যোগকে। সকলেই বলছিলেন, টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী যে দলের প্রথম ম্যাচেই বহিষ্কার হয়ে যাওয়ার কথা, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সেই দল গায়ের জোরে ফাইনালে, এই বিষয়টি হাস্যকর। ফুটবলের স্পিরিটের সঙ্গে বেমানান। পুলিশের টুর্নামেন্ট খেলতে গিয়ে দুর্ভাগ্যজনক অভিজ্ঞতার শিকার হয়ে রুষ্ট অনেকেই। যে মানিকের জন্য কলঙ্কিত হলো এমন দারুণ এক টুর্নামেন্ট, তাঁর বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয় থানা ও কেএসএসএ-র তরফে সেটাই দেখার। আর কিছু না হলে ফুটবল মহলের কাছে কি সদর্থক বার্তা যাবে? প্রশ্ন থেকেই গেল।

জুলাই ১২, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal